রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:০২ পূর্বাহ্ন
মুহাম্মদ আব্দুল বাছির সরদার : দিরাইয়ের পল্লীতে ছোট বাচ্চাকে মারধরের ঘটনায় গুরুতর আহত ব্যক্তির চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে, তিনি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার তাড়ল ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের মৃত আব্দুর রউফের ছেলে আব্দুল হাসেম (৬০)। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সোমবার দুপুর পৌনে ২টায় তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। সূত্র আরো জানায়, গত ৩০ সেপ্টেম্বর বুধবার সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার তাড়ল ইউনিয়নের নোয়াগাঁও (বাউসি) ও তলবাউসি গ্রামে ছোট বাচ্চাকে মারধরের ঘটনায় গ্রামের আউলী ও ইয়াছিনের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষে বাঁধলে নারীসহ ১৫ জন আহত হয়। এরমধ্যে গুরুতর আহত আব্দুল বারিকের ছেলে আব্দুল মুতালিব (৭৫), মৃত আব্দুর রউফের ছেলে আব্দুল হাসেম (৬০), তার ছেলে আল আমিনকে (২৫) সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গলায়বিদ্ধ এককাইট্টা নিয়ে সিলেট যাওয়ার পরই দ্রুত অপারেশন করা হলেও জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থেকে অবশেষে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তিনি স্ত্রী, ৩ ছেলে ও ২ মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন রেখে গেছেন।
এদিকে এ ঘটনায় দিরাই থানায় পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। নোয়াগাঁও গ্রামের মৃত আব্দুল করিমের ছেলে সিদ্দিকুর রহমান বাদী হয়ে ৪৭ জনকে আসামী করে তিনি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-০১, তারিখ ০১/১০/২০১৫। অন্যদিকে প্রতিপক্ষ তলবাউসি গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে মোঃ আবুল কালাম বাদী হয়ে ৪৪ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন তিনি। মামলা নং-০৬, তারিখ ০৩/১০/২০১৫। তবে এষর পর্যন্ত কোন মামলারই আসামী গ্রেফতার করা হয়নি। আগামীকাল লাশের ময়না তদন্ত শেষে গ্রামের বাড়িতে এনে পারিবারিক কবরস্থানে দাফ করা হবে বলে জানান মৃতের ভাতিজা রফিকুল ইসলাম।
উল্লেখ্য যে, গত ২৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে নোয়াগাঁও (বাউসি) গ্রামের আউলীর ছেলেকে পার্শ্ববর্তী তলবাউসি গ্রামের ইয়াছিন মারধর করে। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে রাতেই বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে আলতার লোকজন হাসেমের লোকজনের ওপর দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করে। পরে ৩০ সেপ্টেম্বর বুধবার সকাল ৮টার দিকে আবারও আলতার লোকজন হাসেমের বাড়িতে আক্রমণ করে। সূত্র আরো জানায়, এ দিন হাসেমের ছেলে আল আমিনের বিয়ের অনুষ্ঠান ছিলো, কিন্তু সংঘর্ষে আহত হওয়ার কারণে আর বিয়ের অনুষ্ঠান হয়নি। বর আল আমিন গুরুতর আহত হয়ে এখন হাসপাতালে শয্যাশায়ী। এ ঘটনায় আহতরা হলেন নোয়াগাঁও (বাউসি) গ্রামের মৃত আব্দুল বারিকের ছেলে আব্দুল মুতালিব (৭৫), মৃত আব্দুর রউফের ছেলে আবুল হাসেম (৬০), তার ছেলে আল আমিন (২৫), হাফিজ মিয়ার স্ত্রী রেজিয়া বেগম (৫০), আবুবকরের ছেলে মোজাম্মেল (৫৫), আবুল কালামের স্ত্রী সুফিয়া বেগম (৩৫), আব্দুছ ছত্তারের ছেলে হজরত আলী (২৫), নূর ইসলামের স্ত্রী ইয়াসমিন বেগম (২৫), আলতা মিয়ার ছেলে ইজাজুল মিয়া (২৫)। এরমধ্যে গুরুতর আহত আব্দুল বারিকের ছেলে আব্দুল মুতালিব (৭৫), মৃত আব্দুর রউফের ছেলে আবুল হাসেম (৬০), তার ছেলে আল আমিনকে (২৫) সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।